আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে গুগল পেনাল্টি কি (What Is Google Penalty) এটা নিয়ে কথা বলবো। যারা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা অবশ্যই এই লেখাটি ভালো ভাবে পড়ে নিবেন,না হলে আপনার ওয়েবসাইট ও গুগলের কাছে পেনাল্টি খেতে পারে। তাই অবশ্যই লেখাটি নিজে পড়ুন এবং সবার মাঝে শেয়ার করে দিন।
চলুন শুরু করা যাকঃ
গুগল পেলান্টি কি?
২/
SEO করেছে তাদের কাছে on page seo এর থেকে off page seo এর গুরুত্ব বেশি ছিল তাই তারা শুধু ব্যাকলিংক তৈরি করতো। তবে হঠাৎ করে গুগলের অ্যালগরিদমে বড় দুইটা পরিবর্তন আসে যাদের একটি হলো ১/ Google Panda ||| ২/ Google Penguin
এই দুটি নতুন আপডেট আসার পরে অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট গুগল থেকে নাই হয়ে যায়। যার জন্য প্রায় সবাই ক্ষতির মুখে পড়ে যায়। সেই ২০১২ সালে যেসব ওয়েবসাইট এই দুই আপডেটের কবলে পড়েছিল তাদের মধ্যে অনেক ওয়েবসাইট এখন পর্যন্তও ব্যাক আসতে পারেনি।
এই নতুন অ্যালগরিদম দুইটি কাজ ছিল ওয়েবসাইট এ যেসব কনটেন্ট আছে সেগুলো ইউনিক নাকি ডুপ্লিকেট সেটা বেরা করা এবং অন পেইজ ঠিক আছে কিনা সেটা দেখা।
গুগল পেলান্টি কি?
what is google penalty?
ধরুন,আপনার একটি ওয়েবসাইট কোনো একটি Keyword এর উপর গুগল র্যাঙ্কে আসে। এখন যদি কোনো কারণে গুগল র্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে নেয় বা তাদের ইনডেক্স থেকেই সরিয়ে নেয় তবে তাকে এই প্রক্রিয়াকে গুগল পেনাল্টি বলে। যদি আপনার ওয়েবসাইট পেনাল্টি খেয়ে বসে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট হিরো থেকে জিরো হয়ে যাবে।
গুগল পেলান্টি কত প্রকার এবং কি কি?
এটা সাধারণত দুই প্রকার ১/Google Manual Penalty
২/
Google Algorithm Penalty
....গুগল ম্যানুয়াল পেনাল্টি কিভাবে কাজ করে?
পেনাল্টি এর ক্ষেত্রে এটা বেশি ক্ষতিকর নয়। কারণ গুগলে অনেক কর্মচারী রয়েছেন যাদের কাজ হলো ইনডেক্স হওয়া ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে কোনো ভুল আছে কিনা,যদি তাদের মনে হয় কোনো ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি দিতে হবে তখন তারা সেই ওয়েবসাইট এর মালিককে কয়েকদিন আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়ে একটা মেইল পাঠিয়ে দেয়। যেখানে বলা থাকে (( আপনার ওয়েবসাইটে এই এই সমস্যার জন্য আমরা পেনাল্টি দিতে যাচ্ছি,আপনি যদি এসব সমস্যা ঠিক না কারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটকে আমরা পেনাল্টি দিয়ে দিব)) আপনি যদি তাদের দেখানে গাইডলাইন গুলো দেখে সমস্যা গুলো সমাধান করেন তাহলে তো আপনি বেঁচে গেলেন না হলে আপনাকে অবশ্যই পেনাল্টি খেতে হবে,গুগল অ্যালগরিদম পেনাল্টি কি?
প্রথমেই জেনে নিন অ্যালগরিদম কিঃ গুগলে কিছু কোডিং দেওয়া থাকে যেগুলো কাজ হলো সবসময় ইনডেক্স হওয়া ওয়েবসাইট গুলোকে ভিজিট করা এবং কোনো সমস্যা পেলে সেই ওয়েবসাইট গুলোকে পেনাল্টি দেওয়া।। গুগল ওয়েব মাস্টার জগৎে হয়ত এটাই সবচেয়ে খারাপ বিষয়। গুগলের ম্যানুয়ালি পেনাল্টির সময় তো আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট যদি অ্যালগরিদম পেনাল্টি খায় তাহলে আগে এবং পরে কখনোই গুগল আপনাকে এর কারণ জানাবে না। অনেকেই জানে না যদি কোনো ওয়েবসাইট একবার পেনাল্টি খেয়ে বসে তাহলে সেই ওয়েবসাইট আবার ব্যাক করা অনেক কঠিন এবং অনেক সময়ের কাজ। এটা যেহেতু আগে থেকে কোনো নোটিশ দেয় না তাই এই ধরনের পেনাল্টি থেকে বাচার কোনো উপায় নেই। একটা উদাহরণ দিয়ে বলা যাকঃ ২০১২ সালের আগে যারাঅ্যালগরিদম পেনাল্টি থেকে বাচাঁর উপায়
আমি আগেই বলেছি,এটা থেকে কোনো উপায় নেই কারণ গুগল কিছু দিন পরপরই নানা ধরনের আপডেট আসে,একেক আপডেট এ একেক ধরনের নিয়ম দেওয়া থাকে। আপনার ওয়েবসাইট এ যদি কোনো নতুন বা পুরাতন নিয়ম না মানা হয় হয় আপনার ওয়েবসাইট কে পেনাল্টি দেওয়া হবে। তবে এর থেকে বাচাঁর একটি উপায় আছে সেটা হলো Search Engine Journal,,, বিশ্বের সকল বড় বড় এসইও এক্সপার্টরা এখানে ব্লগ লেখেন এবং বিভিন্ন আপডেট সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। গুগলের কোনো অ্যালগরিদম আপডেট আসার কিছুদিন আগেই এখানে জানিয়ে দেওয়া হয় যেখানে সকল নতুন নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হয়। আপনি যদি এগুলো আগে থেকে জেনে নিয়ে আপনার ওয়েবসাইট কে নতুন আপডেটের নিয়ম অনুসারে সাজান তাহলে আপনি অ্যালগরিদম পেনাল্টি থেকে বেচে যাবেন।পেনাল্টি খাওয়া ওয়েবসাইট ব্যাক করবো কিভাবে?
একটি পেনাল্টি খাওয়া ওয়েবসাইট ব্যাক করা অনেক কঠিন এবং সময়ের কাজ এবং এটা অনেক ক্ষেত্রে কাজে নাও আসতে পারেন। যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট পেনাল্টি খেয়ে বসে বসে তাহলে আপনাকে আগে এর কারণ টা আগে বের করতে হবে। আপনাকে প্রথমেই দেখতে হবে আপনার ওয়েবসাইটটি যে তারিখ হতে গুগলে পাচ্ছেন না সেই তারিখ এর আশে আশে গুগলেরর কোনো অ্যালগরিদমের কোনো আপডেট এসেছে কিনা,এটা খুজে দেখলে আপনি অবশ্যই একটি আপডেটের কথা জানতে পারবেন। এরপর আপনাকে এই আপডেটের সকল নিয়ম গুলো ভালো ভাবে পড়ে নিতে হবে এবং তাদের গাইডলাইন অনুসারে আপনার ওয়েবসাইট টি সাজিয়ে নিতে হবে। এংন আপনার কাজ শেষ। এরপর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ততদিন পর্যন্ত যতদিন পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইট যে অ্যালগরিদম এর জন্য পেনাল্টি খেয়েছে তার নতুন কোনো আপডেট না আসে।এটা আসতে ১ সপ্তাহ,১ মাস,৬ মাস বা ১ বছরও লাগতে পারে।
আশা করি আমার লেখাটি আপনারা বুঝতে পেরেছেন,,আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগলে ইনডেক্স হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই Search Engine Journal এবং এর মতো ওয়েবসাইট সাথে যুক্ত থাকতে হবে যাতে আপনি সবধরনের আপডেট পান।
যদি কোনো বিষয়ে ভালোভাবে না বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
ধন্যবাদ